গুলিস্তানের আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলে জয় বাংলা ‘স্লোগান দিয়ে’ গ্রেপ্তার হওয়া বাকপ্রতিবন্ধী সাইদ শেখকে জামিন দিয়েছে আদালত।
ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম জাকির হোসাইন জামিনের আদেশ দেন। রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর মুহাম্মদ শামছুদ্দোহা সুমন সাইদের জামিনের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
সাইদের আইনজীবী মোহাম্মদ লিটন মিয়া জানিয়েছেন, বুধবার এই তরুণ কারামুক্ত হবেন বলে আশা করছেন তিনি।
গত ২৪ অগাস্টে ওই মিছিল থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গ্রেপ্তার তিনজনের অপর দুই আসামি হলেন, রাজু আহমেদ ও শেখ মো. শাকিল।
গ্রেপ্তারের পর সাইদসহ তিনজনকে ২৫ অগাস্ট আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানার এসআই মাকসুদুল হাসান। সেখানে তদন্ত কর্মকর্তা সাইদকে বাকপ্রতিবন্ধী হিসেবে তুলে ধরেন। ওইদিন তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
পল্টন থানার ওই মামলায় বলা হয়েছে, দেশের আইনশৃঙ্খলা বিনষ্ট করার পাশাপাশি বড় ধরনের ‘অঘটন’ ঘটাতে আসামিরা রাষ্ট্রবিরোধী স্লোগান দেন এবং সমাবেশ আয়োজনের চেষ্টাও করেন।
২৬ অগাস্ট সাইদের পক্ষে তার আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। তারা তাকে প্রতিবন্ধী দাবি করে জামিন চান। শুনানি নিয়ে আদালত আসামির উপস্থিতিতে পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ঠিক করে দেন ২৮ অগাস্ট।
এরই মাঝে ২৭ অগাস্ট তদন্ত কর্মকর্তা মাকসুদুল হাসান সাইদকে প্রতিবন্ধী হিসেবে বিবেচনা না করে তোতলা বা অস্পষ্টভাষী হিসেবে বিবেচনা করার আবেদন করেন।
আবেদনে তিনি বলেন, সাইদকে বাকপ্রতিবন্ধী হিসেবে ২৫ অগাস্ট আদালতে পাঠানো হয়। পরে তদন্ত করে জানা যায়, আসামি প্রকৃতপক্ষে বাক প্রতিবন্ধ নন। প্রতিবন্ধী হিসেবে কোনো দালিলিক সাক্ষ্যপ্রমাণও মেলেনি।
আদালত এ বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে শুনানির দিন নির্ধারণ করেন ২৮ অগাস্ট।
ওদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মাকসুদুল হাসান আদালতে হাজির হন। কারাগার থেকে হাজির করা হয় সাইদকেও।
শুনানিতে ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম জাকির হোসাইন আদেশ দেন, সাইদ প্রতিবন্ধী কিনা, সে বিষয়ে জেল কোডের বিধান অনুযায়ী একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা পরীক্ষা করে ১ সেপ্টেম্বর প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে সিনিয়র জেল সুপারকে এ আদেশ দেওয়া হয়।